প্রকাশ: বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ৮:২৮ PM
পাবনার আটঘরিয়ায় তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন হাঁসফাঁস, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ। বসন্তের দিন ফুরিয়ে রুক্ষ প্রকৃতিতে এখন কেবলই সূর্যের সীমাহীন উত্তাপ। বৈশাখের আগ থেকেই খরতাপে পুড়ছে দেশ। তীব্র গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। তীব্র অসহনীয় গরমে সবচেয়ে কষ্টে আছেন দিন-মজুর খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। রৌদ্র ও গরমের তীব্রতা এতটাই বেশি যে বাইরে কাজে বের হয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। জীবিকার তাগিদে উপায়ান্ত না পেয়ে তীব্র রোদেই কাজে বের হতে হয় খেটে খাওয়া মানুষদের। দিনমজুর থেকে শুরু করে নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে অন্য সবার চেয়ে বেশি।
পারখিদিরপুর এলাকার ভ্যান চালক কালাম বলেন, আমাদের মতো গরিবদের আর গরম, মরলেও কি? বাঁচলেইবা কি? জীবিকার তাগিদে সড়কে বেড় হতেই হয়। উপজেলার রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দিনমজুরসহ নিম্নআয়ের মানুষদের মন্তব্য প্রায় একই। বৈশাখের ২য় ও ৩য় দিনে সোমবার-মঙ্গলবার তীব্র গরমে নাজেহাল এলকাবাসী। গত কয়েকদিন ধরেই পুড়ছে জনজীবন। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা মানুষের। দিনে তীব্র গরমের পর রাতেও নেই স্বস্তি।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটে। আগের মতো বড় বড় গাছ নেই, পুকুর নেই, খাল নেই, এসব কারণে বাতাসের সঙ্গে ময়েশ্চার বহন করে না, সবকিছু শুষ্ক হয়ে যাওয়ায় গরমের তীব্রতা বাড়চ্ছে। গরমে পানিশূন্যতাসহ নানান রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। হঠাৎ গরম বেড়ে যাওয়ায় পেশাজীবী, শ্রমজীবী মানুষ, বিশেষ করে রিকশা-ভ্যানচালকদের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তীব্র গরমে পানিশূন্যতা কিংবা হিটস্ট্রোক এড়াতে একটানা কাজ না করে বিশ্রাম নিয়ে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা।
আজকালের খবর/ওআর